সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আদম (আ)-এর দুনিয়ায় বসবাসের কাহিনী

আদম (আ)-এর দুনিয়ায় বসবাসের কাহিনী হযরত আদম (আ) যখন হযরত মুহাম্মদ (স)-এর উসিলা দিয়ে গুনাহ মাপ চান তখন আল্লাহ্ তাদের তওবা কবুল করেন। তওবা কবুলের পরে, আদম ও হাওয়ার প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে এলহাম হল-তােমরা চরণদ্বীপে গিয়ে বসাস করতে থাক। সেখানে তােমাদের সন্তানাদি জন্ম গ্রহণ করবে। আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে তারা ভারতের চরণদ্বীপে এসে বসবাস করতে থাকেন। একদিন হযরত জিবরাঈল (আ) সাতটি লৌহ দণ্ড…

আদম (আ)-এর দুনিয়ায় বসবাসের কাহিনী

islamicthumb1 হযরত আদম (আ) যখন হযরত মুহাম্মদ (স)-এর উসিলা দিয়ে গুনাহ মাপ চান তখন আল্লাহ্ তাদের তওবা কবুল করেন। তওবা কবুলের পরে, আদম ও হাওয়ার প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে এলহাম হল-তােমরা চরণদ্বীপে গিয়ে বসাস করতে থাক। সেখানে তােমাদের সন্তানাদি জন্ম গ্রহণ করবে। আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে তারা ভারতের চরণদ্বীপে এসে বসবাস করতে থাকেন। একদিন হযরত জিবরাঈল (আ) সাতটি লৌহ দণ্ড নিয়ে তাদের নিকট আসেন। আল্লাহ তাআলা জিবরাঈল (আ)-কে হুকুম করলেন আদমকে লােহার কারিগরি কর্ম শেখানাের। জন্য। জাহান্নামের দারােগা ফেরেশতা মালেক থেকে আগুন চেয়ে নাও। তিনি দোযখ থেকে আগুন এনে রাখেন। আগুন সাত স্তর যমীন ছেদ করে পুনরায় দোযখের দিকে গমন করতে থাকে। কথিত আছে এভাবে সাত বার দোযখ থেকে আগুন আনয়ন করা হয় সাতবারই আগুন। দোযখে চলে যায়। আওয়াজ এল-হে জিবরাঈল! রহমতের সাত দরিয়া হতে আগুন ধুয়ে আন, তা হলে আগুন স্থির থাকবে। হযরত কাবে আহবার (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- হ্যরত জিবরাঈল (আ) আগুন, আনতে অক্ষম হন। তখন আল্লাহ্ তাআলা আদমকে পাথরে পাথরে ঘর্ষণ করে আগুন বের। করতে বললে তিনি চকমকি পাথর ঘষণ করে তা হতে আগুন বের করেন এবং জিবরাঈল। (আ) তাঁকে লােহার ব্যবহার শিক্ষা দেন। আদম (আ) লােহা নিয়ে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি করেন। জিবরাঈল (আ) বেহেশত হতে এক জোড়া বলদ এনে দেন। কারাে কারাে মতে – আইনুল বাকার থেকে দুটি গাভী এনে দেন। জান্নাত থেকে এক মুষ্টি গন্দম এনে দিয়ে বললেন, নিজে কৃষিকর্ম করে নিজের খাদ্য জোগাড় করুন। আদম সে গন্দম বীচি যমীনে ছিটিয়ে হাল জুড়ে দেন। হালের বলদ আকা বাঁকা হয়ে চলতে থাকলে তিনি সেটিকে লাঠি দিয়ে প্রহার করেন। বলদ বলল, হে আদম! আমাকে কেন প্রহার করছেন? আপনার বিবেচনা থাকলে মাটির এ জগতে জড়িয়ে পড়তেন না। একথা শুনে আদম (আ) রাগান্নিত হয়ে হালচাষ ছেড়ে চলে যেতে থাকেন। এ সময় জিবরাঈল (আ) এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন-আপনি চলে যাচ্ছেন কেন? আদম (আ) বললেন, বলদ আমাকে শাসিয়েছে। জিবরাঈল (আ) বললেন, আল্লাহর নাফরমানী করলে সে দুঃখ চিন্তায় জড়ায়। আপনাকেও দুঃখ চিন্তার কষ্ট সহ্য করার ভিতর দিয়েই আল্লাহর নিয়ামত ভােগ করতে হবে। একথা শােনে আদম (আ) পুনরায় কৃষি কাজ শুরু করেন। এবারও হালের বলদ আকাবাকা চলতে শুরু করে এবং জোয়াল কাঁধ থেকে নিচে ফেলে দেয়। আদম (আ) পুনরায় বলদকে প্রহার করেন। লাঠি পেটা খেয়ে বলদ কাঁদতে শুরু করে। আদম (আ) বিরক্ত হয়ে চাষ ছেড়ে চলে যান। জিবরাইল (আ) পুনরায় এসে বলেন, আপনি চলে। যাচ্ছেন কেন? আদম (আ) বলেন, বলদ আমার সাথে সহযােগিতা করছে না উল্টাপাল্টা চলছে। আঘাত করায় আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করছে। জিবরাঈল বললেন, আল্লাহ আপনাকে সালাম দিয়ে বলেছেন, আপনি বলদের উপর কঠোরতা অবলম্বন করলে সেটি কখনাে সংশােধিত হবে না। জলদি গিয়ে স্বীয় কর্মে লেগে যান। আল্লাহ বলেছেন, বলদের মুখের জবান বন্ধ করে দেবেন যাতে কথা বলতে না পারে। এখন বলদ থেকে আপনি ভালভাবে কাজ আদায় করতে সক্ষম হবেন। অতঃপর আদম (আ) হালচাষে মনােনিবেশ করেন, যমীনে গমের বীজ বপন করেন। বপনকৃত গমে ফল আসে এবং তা পাকলে তিনি তা কেটে নেন। দুনিয়ায় এসে আদম (আ) এর প্রথম ফসল উৎপাদন করতে সাত ঘণ্টা সময় লেগেছে। যমীন আদমকে বলল- হে আদম আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি দুর্বল না হলে আরও আগেই আপনাকে গম দিতে পারতাম। আদম (আ) গম হাতে ঘােষে খেতে উদ্যত হলে জিবরাঈল (আ) এসে বলেন, গম আগে পিষে নিন, তারপর পানি মিশিয়ে খামির করে তা থেকে রুটি বানীয়ে আগুনে সেকে খান। হযরত হাওয়া (আ) জিবরাঈল থেকে শিক্ষা অনুযায়ী রুটি বানিয়ে আগুনে সেঁকে আদম (আঃ)-এর সামনে এনে রাখেন। রুটি সামনে পেয়েই আদম (আ) খেতে উদ্যত হলে। জিবরাঈল (আ) বললেন, সূর্য ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কারণ আপনি রােযা রেখেছেন সূর্য অস্ত গেলে আদম ও হাওয়া (আ) এক সাথে রুটি খান। | আদম (আ) ভারতে এসে বসবাস শুরু করার পর হযরত হাওয়া (আ) এক জোড়া। ছেলেমেয়ে প্রসব করেন। ছেলের নাম রাখা হয় কাবিল আর মেয়ের নাম রাখা হয় আকলিমা। মেয়ে আকলিমা খুবই রূপবতী ছিলেন। হাওয়া (আ) পুনরায় গর্ববতী হন। এবারও তার জোড়া ছেলেমেয়ে জন্মগ্রহণ করে। এ জোড়ার ছেলের নাম রাখেন হাবিল এবং মেয়ের নাম রাখেন। গাযাহ। আকলিমা যত সুন্দরী ছিলেন। গাযাহ ততটা সুন্দরী ছিলেন না। বর্ণিত আছে, তিনি প্রতিবারই এক জোড়া করে ছেলেমেয়ে প্রসব করতেন। আরেক বর্ণনামতে একশ আশি বার সন্তান প্রসব করেছিলেন। হাবিল-কাবিল যখন বড় হয় তখন হযরত জিবরাঈল (আ) এসে আদম (আ)-কে আল্লাহ তাআলার সালাম জানিয়ে বলেন, আল্লাহ তাআলা আপনাকে নির্দেশ করেছেন কাবিলের জোড়ার মেয়ে আকলিমাকে হাবিলের সাথে এবং হাবিলের জোড়ার মেয়ে গায়াহকে কাবিলের সাথে বিয়ে দিতে। তিনি কাবিল ও হাবিলকে ডেকে আল্লাহ তাআলার নির্দেশের কথা জানিয়ে দেন। একথা শােনে কাবিল বলল- আমার জোড়ার বােন আকলিমা সন্দরী, আমি তাকে হাবিলের সঙ্গে বিয়ে দিতে দেব না। আদম (আ) পুত্র কাবিলকে বললেন-দেখ বেটা! এটা আল্লাহ্ তাআলার হুকুম; সুতরাং এ হুকুম তুমি মেনে নাও। কাবিল বলল-না, তা হবে না। আপনি হাবিলকে ভালবাসেন তাই হাবিলের সাথে আকলিমার বিয়ের কথা বলেছেন। মানব সমাজে কাবিলই সর্বপ্রথম পিতার নির্দেশ অমান্যকারী হয়। সর্বশেষে আল্লাহ্ তাআলার নির্দেশ অনুসারে আদম (আ) কাবিলের জোড়ার মেয়ে আকলিমাকে হাবিলের। সাথে এবং হাবিলের জোড়ার মেয়ে গাযাহকে কাবিলের সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের পর কাবিল ঈর্ষান্বিত হয়ে হাবিলকে বলল, তুমি আমার জোড়ার বােনকে তালাক দিয়ে দাও, আমি তাকে বিয়ে করে আপন সেবায় নিয়ােজিত করব। হাবিল বলল, তা কি করে হয়! আল্লাহর নির্দেশানুসারে আব্বা তার সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়েছেন। সে এখন আমার জীবন সঙ্গিনী । আমি কক্ষণাে আব্বার হুকুম লংঘন করতে পারব না এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহ্র হুকুম মেনে চলব। আদম (আ) এ ঘটনা শুনতে পেয়ে কাবিল হাবিলকে ডেকে বললেন, তােমরা প্রত্যেকে এককটি কোরবানী করে মিনার পাহাড়ে রেখে আস। যার কোরবানী আল্লাহর দরবারে কবূল হবে, আকলিমা তারই স্ত্রী হবে। পুত্রদ্বয় পিতার নির্দেশানুসারে কয়েকটি বকরী জবাই করে মিনার পাহাড়ের উপর রেখে আসে। কোরবানীর জবাইকৃত পশু মিনার পাহাড়ের উপর রেখে ভ্রাতৃদ্বয় আপন আপন কোরবানী কবুলের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করতে লাগল। দোয়া শেষে আসমান থেকে ধোঁয়াযুক্ত মেঘ সী-মােরগের আকৃতিতে এসে হাবিলের কোরবানী জ্বালিয়ে ফেলে। সে সময় এটা ছিল আল্লাহর নিকট কোরবানী কবুল হওয়ার আলামত। কাবিলের কোরবানী ককূল না হওয়াই সে হাবিলকে বলল, তােমার কোরবানী ককূল হয়েছে; সুতরাং আমি তােমাকে হত্যা করব। হাবিল বলল, আল্লাহ তাআলা ফরহেযগারদের কোরবানীই ককূল করে থাকেন। অতএব তুমি যদি আমাকে হত্যা করতে হাত প্রসারিত কর, তবুও আমি তা করব না। কেননা, আমি সমগ্র জগতের মালিক আল্লাহ তাআলাকে ভয় করি। যে মিনা পাহাড়ে কাবিল ও হাবিলের কোরবানী রাখা হয়েছিল, সেটা এখন হাজীদের প্রার্থনার স্থান। বর্তমানের কোরবানী সেখানেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আদম (আ)-এর সময় মিনা পাহাড়ের আগুন ছিল ফয়সালাকারী। ফয়সালার জন্য যদি সেখানে কোন বস্তু রাখা হত, তবে আসমান থেকে আগুন এসে তা জ্বালিয়ে দিত। জ্বালিয়ে দেয়াটাই আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার নিদর্শন বলে বিবেচিত হত। নূহ (আ)-এর সময় ফয়সালাকারী ছিল তার কিশতী, এ কিশতী দ্বারা সত্য-মিথ্যা যাচাই করা হত। সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের জন্য কেউ কিশতীর উপর হাত রেখে দিলে যদি তা স্থির থাকত তবে এটা তার সত্যবাদী হওয়ার প্রমাণ বলে বিবেচিত হত। আর যদি নড়ে উঠত, হবে মিথ্যাবাদী বলে। প্রমাণিত হত। ইউসুফ (আ)-এর যুগে ছিল এক বিশেষ ধরনের পাঞ্জা। কেউ যদি তাতে হাত রাখত তবে তা থেকে আওয়াজ বের হলে সে মিথ্যাবাদী বলে সাব্যস্ত হত এবং আওয়াজ বের হলে সত্যবাদী সাব্যস্ত হত। হযরত দাউদ (আ)-এর যুগে ছিল জিঞ্জির, যা আসমান থেকে ঝুলানাে থাকত। বিবাদমানদের কেউ তাতে হাত রাখলে তা হাতে এসে গেলে সে সত্যবাদী বলে বিবেচিত হত। অন্যথায় মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হত। হযরত সােলায়মান (আ)-এর যুগে ছিল গির্জার দেয়াল পথের ছিদ্র। বিবাদমানদের প্রতি নির্দেশ ছিল সে ছিদ্রে পা রাখার। যার পা। আটকে যেত সে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হত অন্যথায় সত্যবাদী বলে সাব্যস্ত হত। হযরত যাকারিয়া (আ)-এর সময় ছিল কলম। বিবাদমানদের আদেশ দেয়া হত যার যার নাম লেখে কলম। পানিতে ছেড়ে দাও। যার কলম পানির উপর ভাসত সে সত্যবাদী হত আর যার কলম ডুবে। যেত সে মিথ্যাবাদী বলে সাব্যস্ত হত। হযরত মুহাম্মদ (স)-এর সময় পূর্ববর্তী যুগের সব বিধান। রহিত হয়ে যায়। এখন যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘােষণার বিধান সাক্ষ্যের উপর নির্ধারিত হয়। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন- হে মুহাম্মদ (স)! কে সত্যবাদী আর কে মিথ্যাবাদী তা আমি ভালভাবেই অবগত আছি। যে সত্যবাদী ভাল প্রতিফল লাভ করবে এবং যে মিথ্যাবাদী সে লাভ করবে ঘারাপ প্রতিফল।। যাহােক কাবিল ও হাবিল পাহাড়ের উপরে কোরবানী করে পিতা হযরত আদম (আ)-এর নিকট আসে তিনি কাবিলকে লক্ষ্য করে বললেন, হে কাবিল। এখন তােমার জোড়ার বােন আকলিমা হাবিলের জন্য হালাল এবং তােমার জন্য হারাম হয়ে গেছে। পিতার একথা শুনার পর কাবিল হাবিলকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লেগে যায় এবং সুযােগের অপেক্ষায় থাকে। সে যুগে তখনও হত্যার ঘটনা ঘটেনি। কাবিলই সর্বপ্রথম এঘটনা ঘটায়। আপন ভ্রাতাকে হত্যা করে। এ দুনিয়া প্রথম খুনি হিসেবে আত্ম প্রকাশ করে। একদিন কাবিল হাবিলকে বলল, আমি তােমাকে হত্যা করব। কেননা, তােমার বংশধর আমার বংশধরকে বলবে আমাদের পিতার কোরবানী আল্লাহ তাআলা কবুল করেছেন তােমাদের পিতার কোরবানী কবুল করেন নি। হাবিল বলল, হে আমার ভাই! এতে আমার কি অপরাধ! আল্লাহ তাআলাই তাে ন্যায়বিচারক। ঠিক আছে, যদি তুমি আমাকে হত্যা করও তবু আমি তােমাকে হত্যা করব না। ভ্রাতৃত্বের অধিকার রক্ষার জন্য কখও পিছপা হব না। কিন্তু তুমি হাশরের দিন আল্লাহর নিকট পাপী বলে সাব্যস্ত হয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। আর আমি মুক্তি পেয়ে যাব। হাবীলের এ কথায় কাবিল হাবিলের জীবনের শত্রু হয়ে ওঠে। ঘটনাক্রমে একদিন হযরত আদম (আ) হজ্জে চলে যান। দিনটি ছিল মঙ্গলবার। কাবিল হাবিলের বকরী রাখার ঘরে ঢুকে দেখতে পেল সে ঘুমিয়ে আছে। তাকে ঘুমন্ত দেখে কাবিল ভাবছিল কিভাবে হত্যা করবে। কাবিলের চিন্তামগ্ন অবস্থায়ই অভিশপ্ত ইবলীস মানুষের আকৃতি ধারণ করে একটি সাপ হাতে করে কাবিলের সম্মুখে আসে এবং ভূমি হতে এক খণ্ড পাথর উঠিয়ে সাপের উপর মারতেই সাপটি মরে যায়। এ ঘটনা ঘটিয়ে অভিশপ্ত ইবলীস গায়েব হয়ে যায়। কাবিল ইবলীসের শিক্ষানুযায়ী একটি পাথর উঠিয়ে কাবিলের মাথায় মারতেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ

    নূরে মুহাম্মাদী (স) - সৃষ্টি তাঁর থেকে সকল মাখলুকের সৃষ্টি বিষয়ক!
    প্রিয় ইভেন্ট অ্যাপলিকেশন ডাউনলোড!