সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আদম (আ)-কে জানাতে প্রেরণ ও হাওয়া (আ)-এর সৃষ্টি

🌹 আদম (আ)-কে জানাতে প্রেরণ ও হাওয়া (আ)-এর সৃষ্টি 🌹 আদম (আ)-কে জানাতে প্রেরণ ও হাওয়া (আ)-এর সৃষ্টি ! 🌹 আদম (আ)-কে জানাতে প্রেরণ ও হাওয়া (আ)-এর সৃষ্টি ➡ প্রিয় ইভেন্টের কন্টেন-এ সকল আম্বিয়ায়ে কেরামের জীবনালেখ্য বিভিন্ন তাফসীর, হাদীস প্রকাশসহ এবং সমকালীন গ্রন্থের সাহায্যে চেষ্টা করেছি ইহুদীদের মিথ্যা প্রচারণা থেকে র…

🌹 আদম (আ)-কে জানাতে প্রেরণ ও হাওয়া (আ)-এর সৃষ্টি

islamicthumb1

🌹 আদম (আ)-কে জানাতে প্রেরণ ও হাওয়া (আ)-এর সৃষ্টি !

islamicthumb2

🌹 আদম (আ)-কে জানাতে প্রেরণ ও হাওয়া (আ)-এর সৃষ্টি ➡ প্রিয় ইভেন্টের কন্টেন-এ সকল আম্বিয়ায়ে কেরামের জীবনালেখ্য বিভিন্ন তাফসীর, হাদীস প্রকাশসহ এবং সমকালীন গ্রন্থের সাহায্যে চেষ্টা করেছি ইহুদীদের মিথ্যা প্রচারণা থেকে রক্ষা করতে। কতটুকু সফল হবো তা পাঠকদের সুবিবেচনার জন্য রইল। এ অধমের প্রচেষ্টার ফসল আলোচ্য (কাসাসুল আম্বিয়া গ্রন্থ থেকে আলোচিত) কনটেন্ট দ্বারা পাঠক সমাজ যদি সামান্যতমও উপকৃত হয় তবেই আমার শ্রম সার্থক হবে। পরিশেষে, আল্লাহ আমাদের সকলকে আম্বিয়ায়ে কেরামের জীবনী গ্রন্থ থেকে উপকৃত হওয়ার তওফিক দান করুন। আমীন।

PRIYOEVENT 💭

🌹 আদম (আ)-কে জানাতে প্রেরণ ও হাওয়া (আ)-এর সৃষ্টি

📖 এরপর আল্লাহ্ পাকের হুকুমে ফেরেশতারা আদম (আ)-এর আসন জান্নাতুল ফেরদাউসে এনে রাখেন এবং আল্লাহ পাক আদম (আ)-কে সকল নিয়ামত দান করেন। এতদসত্ত্বেও তিনি মানসিক ভাবে সস্তিবােধ করছিলেন না। কেননা, সকল আরাম আয়েশ ও মানসিক প্রশান্তি আসে সমগােত্রীয়ের সাহচর্য থেকে। কিন্তু সারা দুনিয়ার কোথাও তার সমগােত্রীয় কেউ ছিল না। আদম (আ) এর এ অবস্থা আল্লাহ পাকের অজানা ছিল না। তাই তিনি আদম (আ)-এর জোড়া সৃষ্টির ইচ্ছা করলেন। কেননা, আল্লাহ ব্যতিত আর কেউই জোড়ার প্রয়ােজন মুক্ত নয়। হযরত আদম (আ) যখন অস্থির-চঞ্চল হলেন তখন আল্লাহ্ তার ওপর নিদ্রা চাপিয়ে দেন। এ অবস্থায় আল্লাহ্ পাক জিবরাঈল (আ)-এর দ্বারা আদম (আ)-এর বাম পাজরের একটি হাজ বের করে আনেন। কিন্তু এতে আদম (আঃ)-এর কোন ব্যথা-বেদনা বা কষ্ট অনুভূত হয় নি। সহায়তান যাদ ব্যাথা বেদনা বা কষ্ট অনুভব করতেন, তবে পুরুষের হৃদয়ে নারীর ভ প্রেমপ্রীতি আর ভালবাসার সৃষ্টি হত না। আদম (আ)-এর পাঁজরের হাড় থেকে তাঁর জীবন। পাৰ হযরত হাওয়া (আ)-কে সৃষ্টি করেন। চেহারার সৌন্দর্য, রূপ-লাবণ্যে তিনি ছিলেন অনন্যা। তদুপরি আল্লাহ্ তাআলা হাওয়া (আ)-কে বুদ্ধিমত্তা, লজ্জাশীলতা এবং পরিপূর্ণ প্রীতি ও ভালবাসার গুণ বৈশিষ্ট্য দিয়ে পরিপূর্ণ করেই সৃষ্টি করছেন। তাঁকে বেহেশতের সুসজ্জিত পােশাক পরিয়ে স্বর্ণখচিত মুকুট মাথায় পরিয়ে স্বর্ণখচিত আসনে বসান হয়। অতপর হযরত আদম (আ)-কে নিদ্রা থেকে জাগ্রত করে হাওয়ার (আ)-এর সাথে তার দেখা করান হয়। হযরত আদম (আ) তাকে দেখার পর তার দিকে হাত বাড়াতে চাইলে আল্লাহর তা'আলার পক্ষ থেকে আওয়াজ এল হে আদম! সাবধান বিয়ের পূর্বে তার সংস্পর্শে যাওয়া তােমার জন্য হারাম। তখন আদম (আ) বিয়ে করার নিবেদন করলেন। আল্লাহ তা'আলা তার আবেদন কবুল করে উভয়ের বিয়ে দেন। এ উপলক্ষে আল্লাহ পাক ফেরেশতাদেরকে লক্ষ্য করে বলেন- সকল পর্দা লাগান হােক এবং আজ গহনাগাটি, মারওয়ারীদ ও হীরা জহরত উৎসর্গীকৃত হবে। এ সাদী মােবারককে কেন্দ্র করে সকল ফেরেশতা তুবা বৃক্ষের নীচে এসে হাজির হলে আল্লাহ্। তা'আলা স্বীয় পর্দা সরিয়ে ফেলেন এবং নিজেই স্বীয় স্তব-স্তুতি, প্রশংসা ফেরেশতাদেরকে শুনিয়ে। দেন। আল্লাহ্ তা'আলা হযরত আদম ও হাওয়া (আ)-এর সাদী মােবারকে যে খােতবা পড়েন। তার মর্মার্থ নিম্নরূপ| সকল স্তব-স্তুতিই আমার, প্রশংসা সম্মান ও বুযুর্গী আমার চাদর, মহত্ত্ব ও বড়ত্ব আমার তহবন্দ, সমগ্র সৃষ্টি আমার দাস-দাসী, পয়গম্বররা আমার রাসূল ও ওলী, মুহাম্মদ (স) আমার হাবীব, বন্ধু ও রাসূল। আমি বস্তুনিচয় সৃষ্টি করেছি যেন সেসব আমার একত্বের সাক্ষী হয়। সকল ফেরেশতা, আসমানের সকল অধিবাসী এবং আরশ বহনকারীরা আমার একত্রে সাক্ষ্য প্রদান করে। আমি আমার নতুন সৃষ্টির শক্তিমত্তায় হাওয়াকে আদমের নিকট বিয়ে দিচ্ছি। আদমের উপঢৌকন এবং হাওয়ার মহর হচ্ছে আমার তসবীহ-তাহলীল এবং আমার পবিত্রতা ও মহত্ত্ব বর্ণনা। আল্লাহ্ ব্যতীত কোন হুকমকর্তা নেই, তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই। হে। আদম ও হাওয়া! তােমরা আমার বেহেশতে যথারীতি বসবাস করতে থাক। তােমরা তথাকার। ফলফলাদি সানন্দে খাও কিন্তু ঐ গাছটির নিকটেও যেও না, যদি যাও তবে, তােমরা জালেমদের। অন্তর্ভুক্ত হবে। তােমাদের উভয়ের প্রতি আমার সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হােক। | এরপর হযরত আদম (আ) আল্লাহ্ পাকের প্রশংসা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন-

سبحان الله والحمد الله ولا إله إلاالله والله أكبر ولاحول ولا قوة إلا بالله العلي العظبم

উচ্চারণ ঃ সুবহানাল্লা-হি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি ওয়ালা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার ওয়ালা-হাওলা ওয়ালা-কুওওয়াতা ইল্লা-বিল্লা-হিল আলিয়্যিল আযীম।।

অর্থঃ আমি আল্লাহ তা'আলার পবিত্রতা বর্ণনা ও প্রশংসা করছি। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন হুকুম কর্তা নেই। আল্লাহ্ অতিব মহান। আল্লাহ্ তা'আলার শক্তি-সামর্থ ব্যতীত কানে কোন শক্তি-সামর্থ নেই। যিনি অত্যন্ত মহৎ মহানও সম্মানিত।

》》》এরপর ঘটনা জানতে আরো পড়ুন

মূলঃ উর্দ্দূ কিতাবের সরল বঙ্গানুবাদ তাহের সুরাটী (ভারত)

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ

    নূরে মুহাম্মাদী (স) - সৃষ্টি তাঁর থেকে সকল মাখলুকের সৃষ্টি বিষয়ক!
    প্রিয় ইভেন্ট অ্যাপলিকেশন ডাউনলোড!