আদম (আ)-এর দেহে রূহের প্রবেশ
আদম (আ)-এর দেহে রূহের প্রবেশ !
আদম (আ)-এর দেহে রূহের প্রবেশ-
প্রিয় ইভেন্টের কন্টেন-এ সকল আম্বিয়ায়ে কেরামের জীবনালেখ্য বিভিন্ন তাফসীর, হাদীস প্রকাশসহ এবং সমকালীন গ্রন্থের সাহায্যে চেষ্টা করেছি ইহুদীদের মিথ্যা প্রচারণা থেকে রক্ষা করতে। কতটুকু সফল হবো তা পাঠকদের সুবিবেচনার জন্য রইল। এ অধমের প্রচেষ্টার ফসল আলোচ্য (কাসাসুল আম্বিয়া গ্রন্থ থেকে আলোচিত) কনটেন্ট দ্বারা পাঠক সমাজ যদি সামান্যতমও উপকৃত হয় তবেই আমার শ্রম সার্থক হবে। পরিশেষে, আল্লাহ আমাদের সকলকে আম্বিয়ায়ে কেরামের জীবনী গ্রন্থ থেকে উপকৃত হওয়ার তওফিক দান করুন। আমীন।
💮
আদম (আ)-এর দেহে রূহের প্রবেশ
এ ঘটনার চল্লিশ দিন পর হযরত আদম (আ)-এর রূহ সৃষ্টি হলে তখন জিবরাঈল, মীকাঈল, ইসরাফীল ও আযরাঈল (আ)-এর প্রতি আদমের রূহ দেহ পিঞ্জরে পৌছে দেয়ার আদেশ করা হয়। তাদের প্রত্যেকের সাথে সত্তর হাজার ফেরেশতা। আদমের রূহ একটি নূরের পাত্রে করে আরেকটি নূরের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে এনে আদম (আ)-এর মস্তকের ওপর রেখে ঢাকনা উঠিয়ে ফেলে। কেমন করে আদমের রূহ দেহ পিঞ্জরে প্রবেশ করে তা দেখার জন্য সপ্ত আকাশে ফেরেশতার আগমন হয়। যখন শব্দ হল-হে রূহ! এ দেহ পিঞ্জরে প্রবেশ কর। তখন আদম (আ)-এর রূহ দেহ পিঞ্জরের চারদিকে সাতবার চক্কর দেয়। কিন্তু ভেতরে প্রবেশ করতে পেরে নিবেদন করে হে আল্লাহ! আমি নূরের তৈরি, আর এ দেহ পিঞ্জর অন্ধকার আবর্জনাপূর্ণ, কেমন করে আমি এতে প্রবেশ করব। আবার শব্দ হল-হে আদমের রূহ! অনিচ্ছায় এ দেহে পিঞ্জরে প্রবেশ কর এবং অনিচ্ছায় বের হয়ে এসাে। এ নির্দেশ পেয়ে। আদমের রূহ রন্ধ্র পথে দেহ পিঞ্জরে প্রবেশ করে মস্তিষ্কের চতুর্দিকে ঘুরতে থাকে। যখন। আদম (আ) চোখ খােলেন তখন তাঁর রূহ মাথা থেকে কণ্ঠনালীতে, কণ্ঠনালী থেকে বক্ষে এবং বক্ষ থেকে নাভি পর্যন্ত পৌছে, কর্দমাক্ত দেহ পিঞ্জর গােশত, হাড়, অস্থিমজ্জা ও অন্ত্রে রূপান্তরিত হওয়ার ফলে আল্লাহর কুদরতে আদম (আ) যমীনের ওপর হাতে ঠেস দিয়ে উঠতে চান। তখন ফেরেশতারা বলে উঠেন- এ বান্দাহ্ ত্বরাপ্রবণ হবে। এখনও তার শরীর অর্ধেক কর্দমাক্ত অথচ সে ওঠতে চাচ্ছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ্ পাক বলেন-
(খুলিকাল ইনসানু 'আজূলা')অর্থঃ মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে ত্বরাপ্রবণ করে। |
আদম (আ) স্বীয় দেহের প্রতি তাকিয়ে দেখলেন, আল্লাহ্ পাক তাকে কি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এ সময় তাঁর রূহ, জোড়া, রগসমূহ, গােশত, হাড় ও অস্থিমজ্জা, মােট কথা সমস্ত শরীরে বায়ুর ন্যায় ঘুরতে থাকে। তখন আদম (আ)-এর মস্তককে শুইয়ে দেয়ার এবং ১ চেহারা মর্দনের জন্য ফেরেশতাদের পাঠান হয়। এর অল্পক্ষণ পরেই তাঁর হাঁচি আসে। আল্লাহ্ তাআলার পক্ষ থেকে আগত এলহামের শিক্ষানুসারে হযরত আদম (আ) আলহামুদ লিল্লাহ্ বলে ওঠেন। উত্তরে আল্লাহ্ পাকের তরফ থেকে বলা হয় ইয়ারহামুকাল্লাহ্। তাই কেউ হাঁচি দিয়ে আলহামদু লিল্লাহ্ বললে উত্তরে ইয়ারহামুকাল্লাহ্ বলা মুসলমানদের ওপর ওয়াযিব করা হয়েছে।
》》》》 ▶
মূলঃ উর্দ্দূ কিতাবের সরল বঙ্গানুবাদ তাহের সুরাটী (ভারত)