সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নূরে মুহাম্মাদী (স) - সৃষ্টি তাঁর থেকে সকল মাখলুকের সৃষ্টি বিষয়ক!

নূরে মুহাম্মাদী (স) - সৃষ্টি তাঁর থেকে সকল মাখলুকের সৃষ্টি বিষয়ক! ইসলামিক জীবন পদ্ধতি! আমাদের জীবন সুন্দর ও সহজ, পরকালে সফলতা পেতে অবশ্যই আল-কুরআন ও সুন্নাহ অনুশরণ করা আবশ্যক! নূরে মুহাম্মাদী (স) - সৃষ্টি হযরত ইমাম হুসাইন (রা) তাঁর পিতা হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, একদিন আমি রাসূলুল্লাহ (স) এর নিকট বসা ছিলাম,এমন সময় হযরত জাবের ইবনে আবদ…

নূরে মুহাম্মাদী (স) - সৃষ্টি তাঁর থেকে সকল মাখলুকের সৃষ্টি বিষয়ক!

islamicthumb1

ইসলামিক জীবন পদ্ধতি!

islamicthumb2

আমাদের জীবন সুন্দর ও সহজ, পরকালে সফলতা পেতে অবশ্যই আল-কুরআন ও সুন্নাহ অনুশরণ করা আবশ্যক!

নূরে মুহাম্মাদী (স) - সৃষ্টি

হযরত ইমাম হুসাইন (রা) তাঁর পিতা হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, একদিন আমি রাসূলুল্লাহ (স) এর নিকট বসা ছিলাম,এমন সময় হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী (রা) আগমন করে হযরত রাসূলে কারীম (স) - কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (স) ! আমার পিতা - মাতা আপনার জন্য কোরবাোক। আমাকে বলুন, সর্বাগ্রে আল্লাহ তাআলা কোন বস্তু সৃষ্টি করেছেন। রাসূলুল্লাহ (স) বলেন, আল্লাহ তাআলা সর্বাগ্রে এক সহস্র বছর ধরে আমার নুর সৃষ্টি করেছেন। তার একদিন তোমাদের এ দুনিয়ার হিসেবে এক সহস্র বছরের সমান। আল্লাহর সৃষ্টি আমার নূর আল্লাহর মহত্ত্বও মর্যাদা গভীর ভাবে অবলোকন করত এবং আল্লাহর তসবীহ পাঠ, তাওয়াও সিজদায় রত থাকত।

নূরে মুহাম্মদী (স) থেকে সকল মাখলুক সৃষ্টি

হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণনা করেন, সৃষ্টি শূন্য অবস্থায় নূরে মুহাম্মদী (স) বার সহস্র বছর ধরে আল্লাহ তাআলার ইবাদতে মশগুল থাকেন। অতঃপর আল্লাহ পাক নূরে মুহাম্মদী (স) - কে চার ভাগে ভাগ করে একভাগ দিয়ে আরশ, একভাগ দিয়ে কলম, একভাগ দিয়ে জান্নাত এবং একভাগ দিয়ে আলমে আরওয়াহ এবং সমগ্র মাখলুক পয়দা করেন। উল্লিখিত চার ভাগের তিন ভাগ দিয়ে আল্লাহ পাক জ্ঞান -বিবেক, লজ্জা ও প্রেম -প্রীতি ভালবাসা আর এক ভাগ দিয়ে আমাকে সৃষ্টি করেন। নবী কারীম স বলেন - আমি আল্লাহর সৃষ্ট নূর থেকে এবং সমগ্র জগত আমার নূর থেকে সৃষ্টি হয়েছে। এরপর আল্লাহ তাআলা কলমকে আদেশ করেন আরশের উপর কালেমা লা-ইলা -হা ইল্লাল্লা -হু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ লিখতে। কলম আল্লাহর আদেশ পেয়ে চারশ বছর পর্যন্ত কালেমা লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা -হ লিখতে থাকে। অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, কলম লা -ইলা - ইল্লাল্লা -হ পর্যন্ত লিখে নিবেদন করল - ইয়া রব্বুল আলামীন! আপনি তো এক ও অদ্বিতীয় আপনার নামের সাথে যুক্ত এ সম্মানিত নাম কার শোভা পাচ্ছে? আল্লাহর পক্ষ থেকে জবাব এল, এ নাম আমার সম্মানিত হাবীবের । তুমি লিখ - মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। এ আদেশ আল্লাহ পাকের ভীতিকর সম্বোধনের প্রভাবে কলমের মুখ ফাঁক হয়ে যায়,এবং কলম মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ লেখে। তখন থেকেই কলমের মুখ ফাঁক রাখার রীতি চালু হয়েছে,যা কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে।

মূলঃ উর্দ্দূ কিতাবের সরল বঙ্গানুবাদ তাহের সুরাটী (ভারত)

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    8 মন্তব্যসমূহ

    Assalamualaikum warahmatullahi wa barakatuhu!

    নূরে মুহাম্মাদী (স) - সৃষ্টি তাঁর থেকে সকল মাখলুকের সৃষ্টি বিষয়ক!
    প্রিয় ইভেন্ট অ্যাপলিকেশন ডাউনলোড!