সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হযরত আদম (আ)-এর শােক

হযরত আদম (আ)-এর শােক হযরত আদম (আ) মক্কা শরীফ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর হাবিলকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। এরপর তার সন্তানদেরকে তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে শুরু করেন। একজন বলল, গত কয়েক দিন থেকে সে কোথায় গেছে বলতে পারি না। অবশেষে হযরত আদম (আ) হাবিলের খোঁজ না পেয়ে তার দ্রিা ত্যাগ করে সর্বক্ষণ কেবল হাবিলের চিন্তাই বিভাের থাকেন। এ সময় হযরত জিবরাঈল (আ) বললেন-হাবিলকে কাবিল খুন করে অমুকস্থ…

হযরত আদম (আ)-এর শােক

islamicthumb1 হযরত আদম (আ) মক্কা শরীফ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর হাবিলকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। এরপর তার সন্তানদেরকে তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে শুরু করেন। একজন বলল, গত কয়েক দিন থেকে সে কোথায় গেছে বলতে পারি না। অবশেষে হযরত আদম (আ) হাবিলের খোঁজ না পেয়ে তার দ্রিা ত্যাগ করে সর্বক্ষণ কেবল হাবিলের চিন্তাই বিভাের থাকেন। এ সময় হযরত জিবরাঈল (আ) বললেন-হাবিলকে কাবিল খুন করে অমুকস্থানে কররস্ত করে রেখেছে। একথা শােনামাত্র হযরত আদম ও হাওয়া (আ) অঝাের ধারায় কাদতে শুরু করেন এবং জিবরাঈল (আ)-কে বললেন, আমরা তার কবর দেখতে চাই। আরও বললেন, আমি কাবিলের প্রতি খুবই অসুন্তুষ্ট। জিবরাঈল (আ) সান্তনা দিয়ে বললেন, আপনারা কান্নাকাটি করবেন না।
আল্লাহ্ তাআলাও তার প্রতি খুবই অসুন্তুষ্ট। একথার পর জিবরাঈল (আ) আদম ও হাওয়া (আ)-কে হাবিলের কবরের নিকট নিয়ে যান। আদম (আ) কবর দেখে বলেন, কাবিল হাবিলকে খুন করলে তাে এখানে তার রক্ত ঝরত। হযরত জিবরাঈল (আ) বলেন, হাবিলের রক্ত যমীন শােষণ করে নিয়েছে। একথা শুনে হযরত আদম (আ) বলেন, লা'নত সে যমীনের ওপর, যে যমীন আমার সন্তানের রক্ত শােষণ করে নিয়েছে। আদম (আ)-এর লানত বাক্য শুনে কাবিলের শােষণ করে নেয়া রক্ত যমীন উগড়ে দেয়। হযরত আদম ও হাওয়া (আ) হাবিলের কবর খুঁড়ে দেখেন, তার মস্তক থেকে মগজ বের হয়ে গেছে এবং সারা দেহ রক্তে সিক্ত হয়ে আছে। এ অবস্থা দেখে হযরত আদম ও হাওয়া (আ) আবার অঝােরে কাঁদতে থাকেন। তাদের কান্নায় আসমানের সকল ফেরেশতাও কাঁদতে শুরু করে। অবশেষে হযরত আদম (আ) হাবিলের লাশ কবর থেকে বের করে সিন্দুকে ভরে স্বগৃহে নিয়ে আসেন।
হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আদম (আ) চল্লিশ দিন পর্যন্ত। সিন্দুকটি বিভিন্ন স্থানে সঙ্গে নিয়ে ঘুরেন। যেখানেই সিন্দুকটি নিয়ে যেতেন সে স্থানই এ জুলুম অত্যাচারের ঘটনা দেখে আহাজারি করত। চতুষ্পদ জীব, পাখী এবং কীট পতঙ্গও এ অবস্থা দর্শনে কান্নাকাটি করত আর বলত মানব জাতি থেকে দূরে সরে থাকা উচিত। এসব অকৃতজ্ঞ জালেমরা আপন ভাইকে পর্যন্ত খুন করে। এরপর হযরত আদম (আ) হাবিলের লাশ নিজের বসবাসের স্থানে দাফন করেন। হাবিলের মৃত্যু সময় পর্যন্ত আদম (আ)-এর সন্তান সংখ্যা ছিল। সর্বমােট একশ’ বিশ জন এবং একমাত্র হাবিল ব্যতীত আর কেউই তখন পর্যন্ত মৃত্যু বরণ করেনি। পুত্র সন্তানরা সকলে হযরত আদম (আ)-এর নিকট এসে বলল, আমাদেরকে কিছু সম্পদ দিন যাতে আমরা ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে উপার্জন করে খেতে পারি। তখন হয়রত। জিবরাঈল (আ) প্রত্যেককে একেক মুষ্টি করে সােনা রূপা এনে দেন। হযরত আদম (আ)। বলেন, সােনা রূপা দিয়ে কিভাবে তারা ব্যবসা বাণিজ্য করবে?
গায়েব থেকে শব্দ এল, এ সােনা রূপা পাহাড়ে নিক্ষেপ করুন। আপনার সন্তানরা প্রয়ােজন। অনুপাতে সেখানে থেকে নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবিকা অর্জন করবে। তাতে। কিয়ামত পর্যন্ত এ সােনা রূপা শেষ হবে না।
For more posts read.
Next post suggestion:
Click Title : হযরত আদম (আ) এর ইন্তিকাল

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    1 মন্তব্যসমূহ

    Assalamualaikum warahmatullahi wa barakatuhu!

    নূরে মুহাম্মাদী (স) - সৃষ্টি তাঁর থেকে সকল মাখলুকের সৃষ্টি বিষয়ক!
    প্রিয় ইভেন্ট অ্যাপলিকেশন ডাউনলোড!