আদম (আ)-এর গন্দম ভক্ষণ হযরত মুআয (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হাওয়া (আ) যখন গন্দম ফলের খােসা ছাড়ান তখন খােসার ভাঙ্গা স্থান লাল বর্ণ ধারণ করে সেখান থেকে এক ফোঁটা রক্ত টপকে নীচে পড়ে। আদম (আ) জান্নাতে স্বীয় আসনে গিয়ে উপবেশন করলে গন্দম আপনা থেকেই তার নিকট হাজির হয়। গন্দমের সুগন্ধ পেয়েই তিনি স্বীয় আসনকে লক্ষ্য করে বলেন-তুমি আমাকে এখান থেকে দূরে কোথাও রেখে আস। কেননা, আল্লাহ তাআ…
আদম (আ)-এর গন্দম ভক্ষণ
হযরত মুআয (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হাওয়া (আ) যখন গন্দম ফলের খােসা ছাড়ান তখন খােসার ভাঙ্গা স্থান লাল বর্ণ ধারণ করে সেখান থেকে এক ফোঁটা রক্ত টপকে নীচে পড়ে। আদম (আ) জান্নাতে স্বীয় আসনে গিয়ে উপবেশন করলে গন্দম আপনা থেকেই তার নিকট হাজির হয়। গন্দমের সুগন্ধ পেয়েই তিনি স্বীয় আসনকে লক্ষ্য করে বলেন-তুমি আমাকে এখান থেকে দূরে কোথাও রেখে আস। কেননা, আল্লাহ তাআলা আমাকে এটা খেতে বারণ করেছেন। আসন আদম (আ)-কে সেখান থেকে বার হাজার বছরের পথের দূরত্বে নিয়ে রাখে। সেখানেও আসন থেকে নেমেই তিনি গন্দম দেখতে পান। এভাবে আদম (আ) যেখানেই যেতেন গন্দমও সেখানে দেখতে পেতেন। এমনিভাবে আসন যতই তাঁকে হাজার হাজার বছরের পথ দুরে নিয়ে যেত গন্দম সেখানেও গিয়ে হাজির হত। অবশেষে গন্দম হযরত আদম (আ) কে বলল-আপনি যদি লাখাে বছরের দূরত্বেও অবস্থান নেন, সেখানেও গন্দম গিয়ে হাজির হবে। হযরত হাওয়া (আঃ) যখন আদম (আ)-এর জন্য 🌽গমের বীচি দুটি নিয়ে যান। তখন তিনি হাওয়া (আ)-কে জিজ্ঞেস করেন-এটা কি বস্তু? তিনি উত্তর বলেন-এটা ঐ বৃক্ষের ফল যা আল্লাহ্ খেতে নিষেধ করেছেন। তা হতে একটি আমি খেয়েছি এবং দু’টি আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। আদম (আ) বললেন এটার স্বাদ কেমন। জবাবে হাওয়া (আ) বললেন, এর স্বাদ মিষ্টি মধুর। আদম (আ) বললেন, এটা আমি খাব না। কেননা, আল্লাহ্র সঙ্গে এ গাছের ফল না খাওয়ার ব্যাপারে আমার ওয়াদা রয়েছে। আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন-
ولقد عهدنا اللي ادم من قبل فتسی ولم نجد له :ژ;ما۔
উচ্চারণ ঃ ওয়া লাকাদ ‘আহিদনা-ইলা-আ-দামা মিন কাবলু ফানাসিয়া ওয়া লাম নাজিদ লাহূ আযমান।
“পূর্বে আমি আদম থেকে ওয়াদা নিয়েছিলাম, পরে সে ওয়াদা সে ভুলে যায় এবং ওয়াদা রক্ষায় আমি তাকে সুদৃঢ় পাই নি।”
আদম (আ) বিবি হাওয়ার নিকট থেকে গন্দমের দু’টি ফল নিয়ে খেয়ে ফেলেন। গমের বীচি আদম (আ)-এর কণ্ঠনালীর নিচে না নামতেই স্বর্ণখচিত বেহেশতী মুকুট তাঁর মস্তক হতে পড়ে যায় এবং তিনি আসন থেকে নিচে পড়ে যান এবং উভয়ে আক্ৰহীন হয়ে পড়েন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
فلما ذاقا الشجرة بدت لهما سوأتهما وطفقا يخصفن عليهما من ورق الجنة
উচ্চারণ : ফালাম্মা-যা-ক্বাশ শাজারাতা বাদাত লাহুমা-সাওআ-তুহুমা-ওয়া তােয়াফিক্বা ইয়াখছিফা-নি ‘আলাই-হিমা-মিও ওয়ারাক্বিল জান্নাতি।
অর্থঃ “তারা যখন নিষিদ্ধ গাছের ফল ভক্ষণ করলেন, তখন উভয়ের গুপ্তাঙ্গ প্রকাশিত হয়ে পড়ল এবং তাঁরা নিজেদের শরীর পাতা দিয়ে আবৃত করতে লাগলেন।
এ অবস্থায় তারা বেহেশতের যে বৃক্ষের কাছে পাতার জন্য যেতেন, সে গাছই পাতা দিত। অস্বীকার করত। অবশেষে, তাঁরা আঞ্জির গাছের নিকট পৌছুলে সেটি নিজেকে ঝুঁকিয়ে দিয়ে বলল- আপনারা আমার নিকট থেকে পাতা নিন এবং গুপ্তাঙ্গ আবত করুন। অবশেষে আলি বৃক্ষের পাতা দিয়েই তারা দেহ ঢাকেন। চন্দন গাছ থেকেও তারা দেহ ঢাকতে পাতা সংগ্রহ করেন। আল্লাহর দরবার থেকে আওয়াজ এল, ওহে আঞ্জির গাছ! তুমি আদম ও হাওয়া প্রতি। সদাচরণ করেছ। সে সদাচরণের কল্যাণে আমি তােমার নিকট হতে সর্বপ্রকার অনিষ্ট ও বিস্বাদ দূরাভূত করে এমন স্বাদ তােমাকে দান করেছি যে, বহুবার কেউ তােমার স্বাদ গ্রহণ করলেও বিতৃষ্ণ হবে না। চন্দন বৃক্ষের উদ্দেশে বলা হল-আমি তােমাকে সকলের নিকট প্রিয় করেছি। তােমা থেকে সকলেই সুগন্ধ আহরণ করবে।
📃 আল্লাহ তুমি আমাদেরকে হযরত মুহাম্মদ (স) এর উসিলায় আমাদেরকে সরল পথ দেখাও যাদের তুমি নেয়ামত দান করেছ । তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাজিল হয়েছে যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে ।
😭😢 মুমিন বান্দা গণের মধ্যে সামিল/ প্রতিষ্ঠিত করো। আমিন!
!
প্রিয় ইভেন্টের কন্টেন-এ সকল আম্বিয়ায়ে কেরামের জীবনালেখ্য বিভিন্ন তাফসীর, হাদীস প্রকাশসহ এবং সমকালীন গ্রন্থের সাহায্যে চেষ্টা করেছি ইহুদীদের মিথ্যা প্রচারণা থেকে রক্ষা করতে। কতটুকু সফল হবো তা পাঠকদের সুবিবেচনার জন্য রইল। এ অধমের প্রচেষ্টার ফসল আলোচ্য (কাসাসুল আম্বিয়া গ্রন্থ থেকে আলোচিত) কনটেন্ট দ্বারা পাঠক সমাজ যদি সামান্যতমও উপকৃত হয় তবেই আমার শ্রম সার্থক হবে। পরিশেষে, আল্লাহ আমাদের সকলকে আম্বিয়ায়ে কেরামের জীবনী গ্রন্থ থেকে উপকৃত হওয়ার তওফিক দান করুন। আমীন।
0 মন্তব্যসমূহ
Assalamualaikum warahmatullahi wa barakatuhu!